বর্তমানে গতানুগতিক নিয়মে ফেসবুক পেজ থেকে এড চালিয়ে ভাল সেল পাবেন না । কারন আপনি ফিল্টারিং এর মাধ্যমে স্পেসিফিক ক্লায়েন্টগুলোকে ধরতে পারছেন না যার ফলে আপনার ক্লায়েন্টগুলকে রিটার্গেট করা যাচ্ছে না। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আপনার দুইটা জিনিস প্রয়োজন
না। আমরা কোনো ধরেন ডোমেইন-হোস্টিং প্রোভাইড করিনা। তবে ক্লায়েন্ট চাইলে ভালো ডোমেইন-হোস্টিং কোম্পানি রিকমেন্ড করি
ছোট ছোট কাজ করি যেমন: ইমেজ, টেক্সট চেঞ্জ করা প্রোডাক্ট এড , ডিলিট, পরিবর্তন করা । বড় কোনো পরিবর্তন করিনা যেমন: ডিজাইন পরিবর্তন , নতুন ফিচার অথবা ফাংশান যোগ করা । সেক্ষেত্রে ক্লাইন্টকে এক্সট্রা চার্জ দিতে হবে।
অবশ্যই। কাস্টমার চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইনার দিয়ে লোগো, ব্যানার তৈরি করে দেই। এছাড়া কনটেন্ট রাইটার দিয়ে কনটেন্ট রেডি করে দেই। এজন্য আপনাকে চার্জ বহন করতে হবে। আর ফ্রি কোন সোর্স থেকে এগুলো সংগ্রহ করলে কোন চার্জ দেওয়া লাগবেনা।
আমাদের কোনো চার্জ দিতে হবেনা কিন্তু ক্লায়েন্ট কোন প্রিমিয়াম থিম , প্লাগিন ব্যবহার করতে চাইলে তার জন্য পে করা লাগবে। ডোমেইন-হোস্টিং নিজেকে কিনতে হবে। লোগো, ব্যানার , ইমেজ এবং কনটেন্ট এক্সপার্ট কাউকে দিয়ে করাই নিলে তার জন্য পেমেন্ট করতে হবে।
ল্যান্ডিং পেজ এর জন্য ৩-৭ দিন, ইনস্টিটিউট ওয়েবসাইট ৭-১০ দিন, ইকমার্স এর জন্য ১০-১৫ দিন সময় লাগে
ল্যান্ডিং পেজ এবং ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে:
ল্যান্ডিং পেজঃ
১. ল্যান্ডিং পেজে একজন কাস্টমার খুব সহজেই তার পছন্দের প্রোডাক্টটি অর্ডার করতে পারে। কোনো ধরনের লগইন/ রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই শুধু নিজের ইনফরমেশন দিয়েই অর্ডার করতে পারে।
২. ল্যান্ডিং পেজকে সেল ফানেল বলা হয় কারণ কাস্টমার কোনো হ্যাসেল ছাড়াই অর্ডার করতে পারে তাই প্রোডাক্ট সেল এর পরিমান অনেক বেড়ে যাই।
৩. ল্যান্ডিং পেজ এর লোডিং অনেক ফাস্ট হয় কারন এখানে এক্সট্রা কোনো প্লাগিন এবং ইমেজ ব্যবহার করা হয়না। এক্সট্রা কোনো ফাংশনালিটি থাকে না। খুব লাইট ওয়েট এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি হয়।
ই-কমার্স ওয়েবসাইট :
১. ই-কমার্স ওয়েবসাইট হচ্ছে প্রোডাক্ট সেলিং এর সবচেয়ে স্মার্ট প্লাটফর্ম । সিঙ্গেল প্রোডাক্ট এর জন্য ল্যান্ডিং পেজ ভালো কিন্তু অনেক প্রোডাক্ট এর জন্য ই-কমার্স বেস্ট।
২. ই-কমার্স ওয়েবসাইট প্রোডাক্ট ভ্যারিয়েশন, মাল্টিপল প্রোডাক্ট অর্ডার, শিপিং, পেমেন্ট সবগুলো অপশন থাকে যার ফলে একজন ফিজিকাল শপের বিকল্প হিসাবে ই-কমার্স ওয়েবসাইট ব্যবহার করা যেতে পারে
ফেসবুক পিক্সেল:
ফেসবুক পিক্সেল হচ্ছে ফেসবুকের একটি ফিচার যার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে ফেসবুকের সাথে কানেক্ট করতে পারবেন যার ফলে ফেসবুক সহজেই আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক অথবা ক্লাইন্টের ইনফর্মেশন কালেক্ট করতে পারবে। সেক্ষেত্রে পরবর্তী এড রান করার সময় ফেসবুক আপনার ভ্যালুয়েবল কাস্টমার ডিটেক্ট করতে সক্ষম হবে। ফেসবুক পিক্সেল ব্রাউজারের মাধ্যমে ইনফর্মেশন ট্র্যাক করে।
সার্ভার-সাইড ট্র্যাকিংঃ
সার্ভার-সাইড ট্র্যাকিং ফেসবুক পিক্সেল ৭০-৮০% কাস্টমারের ইনফরমেশন ট্র্যাক করতে পারে বাকি ২০-৩০ % মিসিং হয় কারন অনেক কাস্টমার এড ব্লক ব্যবহার করে যার ফলে তাদের ইনফরমেশন ফেসবুক ট্র্যাক করতে পারেনা। আবার iOS 14 ফেসবুকের মতো থার্ড পার্টি অ্যাপকে ইউজার ইনফর্মেশন দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে সেজন্য iPhone ব্যবহারকারীদের ইনফর্মেশন ফেসবুক ট্র্যাক করতে পারছেনা । সে জন্য বিকল্প হিসাবে ফেসবুক আর ব্রাউজার থেকে ইনফরমেশন ট্র্যাক করে না। ওয়েবসাইট ক্লাউড সার্ভারে ইনফর্মেশন পাঠায় দিবে আর ফেসবুক সেখান থেকে কালেক্ট করে নিবে সেক্ষেত্রে ফেসবুক ১০০% কাস্টমারের ইনফর্মেশন কালেক্ট করতে পারবে এই পদ্ধতিকে সার্ভার-সাইড ট্র্যাকিং বলে।